হাদিস থেকে দো‘আঃ

image_print

ঘুমানোর পূর্বের দো‘আঃ

১) দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে নিম্নোক্ত সূরাগুলো পড়ে তাতে ফুঁ দিবেন:

 بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ  ۝ قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ    ۝ۚ اَللّٰهُ الصَّمَدُ   ۝ۚ لَمْ يَلِدْ ڏ وَلَمْ يُوْلَدْ   ۝ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ    ۝ۧ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (কূলহুওয়াল্ল-হু আহাদ। আল্ল -হুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউ -লাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।

অর্থঃ রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ  ۝  ﴿قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ   ۝ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ  ۝ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ   ۝ وَمِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِي الْعُقَدِ    ۝  وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ   ۝

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (কূল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খলাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা -হাসাদ)।

অর্থঃ রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি  ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।”

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ   ۝ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ  ۝ مَلِكِ النَّاسِ  ۝ اِلٰهِ النَّاسِ  ۝ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ڏ الْخَنَّاسِ  ۝ الَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ   ۝ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ    ۝ۧ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (কূল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি, ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খন্না-স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।)।

অর্থঃ রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।”

তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতোটা অংশ সম্ভব মাসেহ করবেন। মাসেহ আরম্ভ করবেন তার মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার করবেন ।)

اَللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا ھُوَ  ۚ اَلْـحَيُّ الْقَيُّوْمُ ڬ لَا تَاْخُذُهٗ سِـنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ  ۭ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ  ۭ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗٓ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ۭ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَھُمْ ۚ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖٓ اِلَّا بِمَا شَاۗءَ  ۚ وَسِعَ كُرْسِـيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا يَـــــُٔـــوْدُهٗ حِفْظُهُمَا  ۚ وَھُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ

উচ্চারণঃ (আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।

অর্থঃ  “আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।”

اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَآ اُنْزِلَ اِلَيْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ ۭ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَمَلٰۗىِٕكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ  ۣلَا نُفَرِّقُ بَيْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ ۣ وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا ڭ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَيْكَ الْمَصِيْرُ  ٢٨٥؁لَا يُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا  ۭ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ  ۭرَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ اِنْ نَّسِيْنَآ اَوْ اَخْطَاْنَا  ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَي الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا  ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ ۚ وَاعْفُ عَنَّا   ۪ وَاغْفِرْ لَنَا   ۪ وَارْحَمْنَا   ۪ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْــصُرْنَا عَلَي الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ

উচ্চারণঃ (আ-মানার রাসূলু বিমা উনযিলা ইলাইহি মির রব্বিহী ওয়াল মু’মিনূন। কুল্লুন আ-মানা বিল্লা-হি ওয়া মালা-ইকাতিহী ওয়াকুতুবিহী ওয়া রুসুলিহ, লা নুফাররিক্বু বাইনা আহাদিম মির রুসুলিহ, ওয়া ক্বালু সামি‘না ওয়া আতা‘না গুফ্‌রা-নাকা রব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর। লা ইয়ুকাল্লিফুল্লাহু নাফ্‌সান ইল্লা উস‘আহা লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাক্তাসাবাত রব্বানা লা তুআখিয্‌না ইন নাসীনা আও আখ্‌ত্বা’না। রব্বনা ওয়ালা তাহ্‌মিল ‘আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা। রব্বনা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা-লা ত্বা-ক্বাতা লানা বিহী। ওয়া‘ফু আন্না ওয়াগফির লানা ওয়ারহামনা আনতা মাওলা-না ফানসুরনা ‘আলাল ক্বাউমিল কাফিরীন)।

অর্থঃ  “রাসূল তার প্রভুর পক্ষ থেকে যা তার কাছে নাযিল করা হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশ্তাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের উপর। আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে, আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। হে আমাদের রব! আপনার ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল। আল্লাহ্ কারো উপর এমন কোন দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না যা তার সাধ্যাতীত। সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তারই, আর মন্দ যা কামাই করে তার প্রতিফল তার উপরই বর্তায়। ‘হে আমাদের রব! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের উপর তেমন বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।”

بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ أَمُوتُ وَأَحْيَا

অর্থঃ হে আল্লাহ ! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো।
[বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১১৩, নং ৬৩২৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১] 

ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিক্‌রসমূহঃ

 «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ».

উচ্চারণঃ (আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর)

অর্থঃ  “হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করলেন, আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান”।
[বুখারী ফাতহুল বারী ১১/১১৩, নং ৬৩১৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১।]

 «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَريكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ للَّهِ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكبَرُ، وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ» «رَبِّ اغْفرْ لِي».

উচ্চারণঃ (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহূ লা- শারীকালাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী)।

অর্থঃ “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব ! আমাকে ক্ষমা করুন”।[বুখারী: ফাতহুল বারী, ৩/৩৯]

 «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي، وَرَدَّ عَلَيَّ رُوحِي، وَأَذِنَ لي بِذِكْرِهِ».

উচ্চারণঃ (আল্‌হামদু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী ফী জাসাদী, ওয়ারদ্দা ‘আলাইয়্যা রূহী ওয়া আযিনা লী বিযিকরিহী)

অর্থঃ সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি আমার দেহকে নিরাপদ করেছেন, আমার রূহকে আমার নিকট ফেরত দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিক্‌র করার অনুমতি (সুযোগ) দিয়েছেন”। [তিরমিযী ৫/৪৭৩, নং ৩৪০১। দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৪৪।]

ক্রোধ দমনের দো:

«أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ»

উচ্চারণঃ (আ‘ঊযু বিল্লাহি মিনাশ্-শাইত্বা-নির রাজীম)

অর্থঃ আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাই বিতাড়িত শয়তান থেকে।

[বুখারী ৭/৯৯, নং ৩২৮২; মুসলিম ৪/২০১৫, নং ২৬১০]

কেউ আপনার সাথে সদাচারণ করলে তার জন্য দো‘আঃ

«جَزَاكَ اللَّهُ خَيْراً»

 উচ্চারণঃ (জাযা-কাল্লা-হু খাইরান)।

অর্থঃ আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
[আহমাদ ৫/৮২, নং ২০৭৭৮; আন-নাসাঈ]

ক্ষমাপ্রার্থনা ও তাওবা করাঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “যে ব্যক্তি বলবে,

«أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ القَيّوُمُ وَأَتُوبُ إِلَيهِ»

উচ্চারণঃ (আস্তাগফিরুল্লা-হাল ‘আযীমল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কায়্যূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি)

অর্থঃ আমি মহামহিম আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি চিরস্থায়ী, সর্বসত্তার ধারক। আর আমি তাঁরই নিকট তওবা করছি।’
আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।

শির্কেরয়ে দোয়া:

إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ اللَّهُمَّ 

উচ্চারণঃ (আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আলামু ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আলামু)

অর্থঃ“হে আল্লাহ! আমি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে শির্ক করা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং অজ্ঞতাসারে (শির্ক) হয়ে গেলে তার জন্য ক্ষমা চাই।”
[আহমাদ ৪/৪০৩, নং ১৯৬০৬; ইমাম বুখারীর আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৭১৬]

বাহনে আরোহণের দো‘আঃ

«بِسْمِ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ للَّهِ ﴿سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ﴾، «الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ  إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي؛ فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ».

উচ্চারণঃ (বিস্‌মিল্লা-হি, আলহাম্‌দু লিল্লা-হি, সুব্‌হা-নাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বালিবূন, আলহামদুলিল্লা-হ, আলহামদুলিল্লা-হ, আলহামদুলিল্লা-হ, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফির লী। ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা)

অর্থঃ “আল্লাহ্‌র নামে; আর সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি একে আমাদের জন্য বশীভূত করে দিয়েছেন, অন্যথায় আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আর আমরা অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করবো আমাদের রব্বের দিকে। সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র-মহান; আমি আমার নিজের উপর যুলুম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে মাফ করে দিন। কেননা, আপনি ছাড়া গুনাহ মাফ করার আর কেউ নেই।”
[ আবু দাঊদ ৩/৩৪, ২৬০২; তিরমিযী ৫/৫০১, নং ৩৪৪৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫৬। আর আয়াত দু’টি হচ্ছে, সূরা আয-যুখরুফের ১৩-১৪]

দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দো‘আঃ

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

উচ্চারণঃ  (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ‘আযীমূল হালীম। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম। লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু রব্বুস সামা-ওয়া-তি ওয়া রব্বুল আরদ্বি ওয়া রব্বুল ‘আরশিল কারীম)

অর্থঃ “আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি মহান ও সহিষ্ণু। ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি মহান আরশের রব্ব। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি আসমানসমূহের রব্ব, যমীনের রব্ব এবং সম্মানিত আরশের রব্ব।”
[বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৭/১৫৪, নং ৬৩৪৫; মুসলিম ৪/২০৯২, নং ২৭৩০]

ঘরে প্রবেশের সময় যিক্‌রঃ

«بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا»

উচ্চারণঃ (বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়াবিস্‌মিল্লাহি খারাজনা, ওয়া ‘আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা)

অর্থঃ “আল্লাহ্‌র নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্‌র নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের রব আল্লাহ্‌র উপরই আমরা ভরসা করলাম”।

অতঃপর ঘরের লোকজনকে সালাম দিবেন।

বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিক্‌রঃ

 «بِسْمِ اللَّهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، وَلَاَ حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ»

উচ্চারণঃ  (বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু ‘আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)।

অর্থঃ “আল্লাহ্‌র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই”   [আবূ দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৫; তিরমিযী ৫/৪৯০]

«اللّٰـهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ، أَوْ أُضَلَّ، أَوْ أَزِلَّ، أَوْ أُزَلَّ، أَوْ أَظْلِمَ، أَوْ أُظْلَمَ، أَوْ أَجْهَلَ، أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ»

উচ্চারণঃ  (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা আন আদ্বিল্লা, আও উদ্বাল্লা, আও আযিল্লা, আও উযাল্লা, আও আযলিমা, আও উযলামা, আও আজহালা, আও ইয়ুজহালা ‘আলাইয়্যা)

অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই যেন নিজেকে বা অন্যকে পথভ্রষ্ট না করি, অথবা অন্যের দ্বারা পথভ্রষ্ট না হই; আমার নিজের বা অন্যের পদস্খলন না করি, অথবা আমায় যেন পদস্খলন করানো না হয়; আমি যেন নিজের বা অন্যের উপর যুলম না করি অথবা আমার প্রতি যুলম না করা হয়; আমি যেন নিজে মুর্খতা না করি, অথবা আমার উপর মূর্খতা করা না হয়।” [আবূ দাউদ, নং ৫০৯৪; তিরমিযী, নং ৩৪২৭; নাসাঈ, নং ৫৫০১; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৮৪।]

কাপড় পরিধানের দো‘আঃ

«الْحَمْدُ للَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا (الثَّوْبَ) وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّة»

উচ্চারণঃ (আল্‌হামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাসানী হা-যা (আসসাওবা) ওয়া রযাকানীহি মিন্ গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াতিন)।

“সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য; যিনি আমাকে এ (কাপড়)টি পরিধান করিয়েছেন এবং আমার শক্তি-সামর্থ্য ছাড়াই তিনি আমাকে এটা দান করেছেন”
[তিরমিযী, নং ৩৪৫৮; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩২৮৫]

হাঁচির দোআঃ

তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে বলবে,

«الْحَمْدُ لِلَّهِ»

উচ্চারণঃ  (আলহামদু লিল্লা-হি)

অর্থঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র”। এবং তার মুসলিম ভাই বা সাথী (যদি শোনে) যেন অবশ্যই বলে,

« يَرْحَمُكَ اللَّهُ »

উচ্চারণঃ (ইয়ারহামুকাল্লা-হ)

অর্থঃ “আল্লাহ আপনাকে রহমত করুন”। যখন তাকে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা হয়, তখন হাঁচিদাতা  (যদি শোনে)  যেন তার উত্তরে বলে,

« يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ»

উচ্চারণঃ (ইয়াহ্‌দীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম)

“আল্লাহ আপনাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের অবস্থা উন্নত করুন।”[বুখারী ৭/১২৫, নং ৫৮৭০।]

মজলিসে যা বলতে হয়ঃ

“ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, গণনা করে দেখা যেত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বৈঠক থেকে উঠে যাবার পূর্বে শতবার এই দো‘আ পড়তেনঃ

«رَبِّ اغْفِرْ لِي، وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الغَفُورُ»

উচ্চারণঃ (রব্বিগফির লী ওয়াতুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত্ তাউওয়া-বুল গাফূর)।

অর্থঃ “হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে মাফ করুন এবং তাওবাহ কবুল করুন; নিশ্চয় আপনিই তওবা কবুলকারী ক্ষমাশীল।”
[তিরমিযী, নং ৩৪৩৪; ইবন মাজাহ, নং ৩৮১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৩; সহীহু ইবনি মাজাহ, ২/৩২১। আর শব্দটি তিরমিযীর।]

বৈঠকের কাফ্‌ফারাঃ

«سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ»

উচ্চারণঃ  (সুব্‌হা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা)।

অর্থঃ  “হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া হক্ব কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার নিকট তওবা করি।

খাওয়ার পূর্বে দোআঃ

“যখন তোমাদের কেউ আহার শুরু করে তখন সে যেনো বলে,

«بِسْمِ اللَّهِ»

উচ্চারণঃ (বিসমিল্লাহ)

অর্থঃ “আল্লাহর নামে।”

আর শুরুতে বলতে ভুলে গেলে যেন বলে,

«بسمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ»

উচ্চারণঃ (বিস্‌মিল্লাহি ফী আওওয়ালিহী ওয়া আখিরিহী)

অর্থঃ “এর শুরু ও শেষ আল্লাহ্‌র নামে।”[আবূ দাঊদ ৩/৩৪৭, নং ৩৭৬৭; তিরমিযী, ৪/২৮৮, নং ১৮৫৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ২/১৬৭]

“যাকে আল্লাহ কোনো খাবার খাওয়ায় সে যেন বলে,

 « اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْراً مِنْهُ»

উচ্চারণঃ  (আল্লা-হুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া আত‘ইমনা খাইরাম-মিনহু)।

অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য আহার করান।”

আর আল্লাহ্‌ কাউকে দুধ পান করালে সে যেন বলে:

«اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَزِدْنَا مِنْهُ»

উচ্চারণঃ (আল্লা-হুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়াযিদনা মিনহু)।

অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং আমাদেরকে তা থেকে আরও বেশি দিন।”[তিরমিযী ৫/৫০৬, নং ৩৪৫৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৮।]

 আহার শেষ করার পর দোআঃ

«الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا، وَرَزَقَنِيهِ، مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ»

চ্চারণঃ  (আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরি হাউলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন)।

অর্থঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি আমাকে এ আহার করালেন এবং এ রিযিক দিলেন যাতে ছিল না আমার পক্ষ থেকে কোনো উপায়, ছিল না কোনো শক্তি-সামর্থ্য।

الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْداً كَثِيراً طَيِّباً مُبَارَكاً فِيهِ، غَيْرَ [مَكْفِيٍّ وَلاَ ] مُوَدَّعٍ، وَلاَ مُسْتَغْنَىً عَنْهُ رَبَّنَا

চ্চারণঃ (আলহামদু লিল্লা-হি হামদান কাসীরান তায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি, গাইরা মাকফিয়্যিন ওয়ালা মুয়াদ্দা‘ইন, ওয়ালা মুসতাগনান ‘আনহু রব্বানা)।

অর্থঃ “আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা; এমন প্রশংসা যা অঢেল, পবিত্র ও যাতে রয়েছে বরকত; [যা যথেষ্ট করা হয় নি], যা বিদায় দিতে পারব না, আর যা থেকে বিমুখ হতে পারব না, হে আমাদের রব্ব!” [বুখারী ৬/২১৪, হাদীস নং ৫৪৫৮; তিরমিযী, আর শব্দটি তাঁরই, ৫/৫০৭, নং ৩৪৫৬।]

 আহারের আয়োজনকারীর জন্য মেহমানের দোআঃ

«اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُم، وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ»

চ্চারণঃ (আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্তাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম)।

অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছেন তাতে তাদের জন্য বরকত দিন এবং তাদের গুনাহ মাফ করুন, আর তাদের প্রতি দয়া করুন।”[মুসলিম ৩/১৬১৫, নং ২০৪২]

দো‘আর মাধ্যমে খাবার বা পানীয় চাওয়ার ইঙ্গিত করাঃ

«اللَّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِي، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِي»

চ্চারণঃ (আল্লা-হুম্মা আত্ব‘ইম মান আত্ব‘আমানী ওয়াসক্বি মান সাক্বা-নী)।

অর্থঃ “হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাবে আপনি তাদেরকে আহার করান এবং যে আমাকে পান করাবে আপনি তাদেরকে পান করান।”

[মুসলিম ৩/১৬২৬, নং ২০৫৫।]

কোনো পরিবারের কাছে ইফতার করলে তাদের জন্য দোআঃ

«أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ»

চ্চারণঃ(আফত্বারা ইন্দাকুমুস সা-ইমূন, ওয়া আকালা ত্বা‘আ-মাকুমুল আবরা-রু, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালা-ইকাহ)

অর্থঃ- “আপনাদের কাছে রোযাদাররা ইফতার করুন, আপনাদের খাবার যেন সৎলোকেরা খায়, আর আপনাদের জন্য ফিরিশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করুন।”[সুনান আবি দাউদ ৩/৩৬৭, নং ৩৮৫৬; ইবন মাজাহ ১/৫৫৬, নং ১৭৪৭]

কাফের সালাম দিলে কীভাবে জবাব দিবেনঃ

“আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও নাসারারা যখন তোমাদেরকে সালাম দিবে, তখন তোমরা বলবে,

«وَعَلَيْكُمْ»

 উচ্চারণঃ (ওয়া ‘আলাইকুম।)

অর্থঃ “আর তোমাদেরও উপর।”
[বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/৪২, নং ৬২৫৮; মুসলিম ৪/১৭০৫, নং ২১৬৩।]

যাকে আপনি গালি দিয়েছেন তার জন্য দোআঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«اللَّهُمَّ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ لَهُ قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»

চ্চারণঃ(আল্লা-হুম্মা ফাআইয়্যূমা মু’মিনিন্ সাবাবতুহু ফাজ্‘আল যা-লিকা লাহু কুরবাতান ইলাইকা ইয়াউমাল ক্বিয়া-মাতি)।

“হে আল্লাহ! যে মুমিনকেই আমি গালি দিয়েছি, তা তার জন্য কিয়ামতের দিন আপনার নৈকট্যের মাধ্যম করে দিন।”[বুখারী (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১৭১, নং ৬৩৬১; মুসলিম ৪/২০০৭, নং ৩৯৬,]

[ মুসলিম, ৪/২২৯৬, নং ৩০০০।]

 কোনো মুসলিমের প্রশংসা করা হলে সে যা বলবেঃ

«اللَّهُمَّ لاَ تُؤَاخِذْنِي بِمَا يَقُولُونَ، وَاغْفِرْ لِي مَا لاَ يَعْلَمُونَ، [وَاجْعَلْنِي خَيْراً مِمَّا يَظُّنُّونَ]»

 উচ্চারণঃ  (আল্লা-হুম্মা লা-তু’আ-খিযনী বিমা ইয়াক্বূলূনা, ওয়াগফিরলী মা-লা ইয়া‘লামূনা, [ওয়াজ‘আলনী খাইরাম মিম্মা ইয়াযুন্নূনা])

অর্থঃ “হে আল্লাহ, তারা যা বলছে তার জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন না, তারা (আমার ব্যাপারে) যা জানে না সে ব্যাপারে আমাকে ক্ষমা করুন, [আর তারা যা ধারণা করে তার চাইতেও আমাকে উত্তম বানান]।”

[বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৭৬১। আর শাইখ আলবানী তাঁর সহীহুল আদাবিল মুফরাদ গ্রন্থে নং ৫৮৫, সেটার সনদকে সহীহ বলেছেন। আর দু’ ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ বাইহাকীর শু‘আবুল ঈমান গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে, ৪/২২৮, যা অন্য পদ্ধতিতে এসেছে।]

আশ্চর্যজনক ও আনন্দজনক বিষয়ের পর দোআঃ

«سُبْحَانَ اللَّهِ»

 উচ্চারণঃ (সুবহা-নাল্লা-হ)

[“আল্লাহ পবিত্র-মহান।”[বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১/২১০, ৩৯০, ৪১৪, নং ১১৫, ৩৫৯৯, ৬২১৮; মুসলিম ৪/১৮৫৭, নং ১৬৭৪।]

«اللَّهُ أَكْبَرُ»

চ্চারণঃ (আল্লা-হু আকবার)

অর্থঃ “আল্লাহ সবচেয়ে বড়।”। [বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৮/৪৪১, নং ৪৭৪১; তিরমিযী নং ২১৮০; আন- নাসাঈ ফিল কুবরা, নং ১১১৮৫।]

আনন্দদায়ক কোনো সংবাদ আসলে যা করবেনঃ

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোনো আনন্দদায়ক সংবাদ এলে মহান ও বরকতময় আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া আদায়স্বরূপ সিজদায় পড়ে যেতেন।”

[আবূ দাউদ নং ২৭৭৪; তিরমিযী নং ১৫৭৮; ইবন মাজাহ্‌ ১৩৯৪]

পায়খানায় প্রবেশের দো:

«[بِسْمِ اللَّهِ] اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبائِث»

 উচ্চারণঃ (বিসমিল্লাহি] আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল খুব্‌সি ওয়াল খাবা-ইসি)

অর্থঃ “[আল্লাহ্‌র নামে।] হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই” [ বুখারী ১/৪৫, নং ১৪২; মুসলিম ১/২৮৩, নং ৩৭৫]

পায়খানা থেকে বের হওয়ার দো:

«غُفْرَانَكَ»

উচ্চারণঃ (গুফরা-নাকা)

অর্থঃ “আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”।  [আবূ দাউদ, নং ৩০; তিরমিযী, নং ৭; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩০০]