ছলাতের পরে পঠিতব্য দোয়া

সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ

اللّٰهُ أكبر

উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার।(একবার)

অর্থ: আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ ।

«أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ»

উচ্চারণঃ (আস্তাগফিরুল্লা–হ)। (তিনবার)

অর্থঃ “আমি আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”

«اللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ- وَمِنْكَ السَّلَامُ- تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ»

উচ্চারণঃ (আল্লা–হুম্মা আনতাস্ সালা–মু ওয়া মিনকাস্ সালা–মু তাবা–রক্তা ইয়া যালজালা–লি ওয়াল–ইকরা–ম)।

অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!”

«لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ- لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ- اللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ- وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ- وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ».

উচ্চারণঃ (লা ইলা–হা ইল্লাল্লা–হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বদীর। আল্লা–হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘তাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যালজাদ্দি মিনকাল জাদ্দু

অর্থঃ “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”

অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো উপকারে আসবে না।”

لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ- لَهُ الْمُلْكُ- وَلَهُ الْحَمدُ- وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ. لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ- لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ- وَلَا نَعْبُدُ اِلَّا إِيَّاهُ, لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ- لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الكَافِرُونَ

উচ্চারণঃ (লা ইলা–হা ইল্লাল্লা–হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা ইয়্যাহু। লাহুন নি‘মাতু ওয়া লাহুল ফাদলু, ওয়া লাহুসসানাউল হাসান। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ–দ্বীন ওয়া লাও কারিহাল কাফিরূন)।

অর্থঃ “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করি, নেয়ামতসমূহ তাঁরই, যাবতীয় অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা তাঁর দেয়া দ্বীনকে একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে”।

«سُبْحَانَ اللَّهِ- وَالْحَمْدُ لِلَّهِ- وَاللّٰهُ أَكْبَرُ»

« لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ- لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ»

উচ্চারণঃ (সুবহা–নাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লা–হু আকবার) (৩৩বার) (লা ইলা–হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বদীর)। অর্থাৎ

«سبحان اللّٰهُ»

উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহ (৩৩ বার)।

অর্থ: আমি আল্লাহর জন্য যাবতীয় দোষ হতে পবিত্রতা ঘোষণা করছি।

الحمد لِلّٰهِ

উচ্চারণঃ আহামদু লিল্লাহ’। (৩৩ বার)।
অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

اللّٰهُ أكبر

উচ্চারণঃ “আল্লাহু আকবার’’ ৩৩ বার।
অর্থঃ “আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান। সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।” (৩৩ বার)। অতপর নিম্নক্ত দোয়াটি পড়বেন

لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ- لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

অর্থঃ “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।”

প্রত্যেক সালাতের পর একবার, সূরা ইখলাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস:

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ۝ قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ۝ۚ اَللّٰهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ ڏ وَلَمْ يُوْلَدْ ۝ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ۝ۧ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল হুওয়াল্লা–হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।

অর্থঃ রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ۝ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۝ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۝ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۝ وَمِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِي الْعُقَدِ ۝ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ۝

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (কূ’ল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা–সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা–সা–তি ফিল ‘উক্বদ। ওয়া মিন শাররি হা–সিদিন ইযা হাসাদ)।

অর্থঃ আল্লাহর নামে শুরু করছি। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি সকাল বেলার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অন্ধকার রাতের অনিষ্ট হতে, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।”

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ۝ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۝ مَلِكِ النَّاسِ ۝ اِلٰهِ النَّاسِ ۝ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ڏ الْخَنَّاسِ ۝ الَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۝ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ۝ۧ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না–স। মালিকিন্না–সি, ইলা–হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া–সিল খান্না–স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না–সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না–স।)।

অর্থঃ  আল্লাহর নামে শুরু করছি । “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।”

আয়াতুল কুরসী। প্রত্যেক সালাতের পর একবার। আর তা হচ্ছে,

اَللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا ھُوَ ۚ اَلْـحَيُّ الْقَيُّوْمُ لَا تَاْخُذُهٗ سِـنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ۭ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ۭ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗٓ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ۭ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَھُمْ ۚ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖٓ اِلَّا بِمَا شَاۗءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِـيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا يَـــــُٔـــوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ۚ وَھُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ

উচ্চারণঃ (আল্লা–হু লা ইলা–হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা–ফিসসামা–ওয়া–তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা–ওয়া–তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।

অর্থঃ “আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বদা রক্ষণাবেক্ষণকারী। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে ? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।”

«لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ- لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ»

উচ্চারণঃ (লা ইলা–হা ইল্লাল্লা–হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্‌দু ইয়ুহ্‌য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।

অর্থঃ “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান”।

মাগরিব ও ফজরের নামাযের পর উপরোক্ত যিকর ১০ বার করে করবেন।

«اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً نافِعاً- وَرِزْقاً طَيِّباً- وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً».

উচ্চারণঃ (আল্লা–হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা ‘ইলমান না–ফি‘আন্ ওয়া রিয্‌কান ত্বায়্যিবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান)।

অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি।”