★ ১৭তম ছওম এর তারাবীহ ★

আজ বুধবার দিবাগত রাতে ১৭তম ছওম এর তারাবীহ ছলাতে পবিত্র কোরআন থেকে ২০তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।
২০তম পারা (সুরা নাম’লের ৬০নং আয়াত থেকে সুরা আনকাবুতের ৪৪নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
১। বলতো, কে পৃথিবীকে বাসোপযোগী করেছেন এবং তার মাঝে মাঝে নদ-নদী প্রবাহিত করেছেন এবং তাকে স্থিত রাখার জন্যে পর্বত স্থাপন করেছেন এবং দুই সমুদ্রের মাঝখানে অন্তরায় রেখেছেন। আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? তবুও তাদের অধিকাংশই জানে না।[ সুরা নাম’ল-৬১ ]
২। আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ গায়েবের খবর জানে না; এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে।[ সুরা নাম’ল-৬৫ ]
৩। নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ। [ সুরা নাম’ল-৭৩ ]
৪। আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন রহস্য নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই। [ সুরা নাম’ল-৭৫ ]
৫। এবং নিশ্চিতই এটা মুমিনদের জন্যে হেদায়েত ও রহমত। [ সুরা নাম’ল-৭৭ ]
৬। যখন প্রতিশ্রুতি (কেয়ামত) সমাগত হবে, তখন আমি তাদের সামনে ভূগর্ভ থেকে বের করব একটি জীব। সে মানুষের সাথে কথা বলবে। এ কারণে যে, মানুষ আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করত না। [ সুরা নাম’ল-৮২ ]
৭। যেদিন আমি সমাবেত করব একেকটি দলকে, সেসব সম্প্রদায় থেকে, যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলত; অতঃপর তাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করা হবে। [ সুরা নাম’ল-৮৩ ]
৮। যেদিন সিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে, অতঃপর আল্লাহ যাদেরকে ইচ্ছা করবেন, তারা ব্যতীত নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যারা আছে, তারা সবাই ভীতবিহ্বল হয়ে পড়বে এবং সকলেই তাঁর কাছে আসবে বিনীত অবস্থায়। [ সুরা নাম’ল-৮৭ ]
৯। যে কেউ সৎকর্ম নিয়ে আসবে, সে উৎকৃষ্টতর প্রতিদান পাবে এবং সেদিন তারা গুরুতর অস্থিরতা থেকে নিরাপদ থাকবে। [ সুরা নাম’ল-৮৯ ]
১০। এবং যে অসৎ কাজ নিয়ে আসবে, তাকে অগ্নিতে অধঃমূখে নিক্ষেপ করা হবে। তোমরা যা করছিলে, তারই প্রতিফল তোমরা পাবে।[ সুরা নাম’ল-৯০ ]
১১। আমি তাদেরকে নেতা করেছিলাম। তারা লোকদেরকে জাহান্নামের দিকে আহবান করত। কেয়ামতের দিন তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।[ সুরা কাসাস-৪১ ]
১২। আমি এই পৃথিবীতে অভিশাপকে তাদের পশ্চাতে লাগিয়ে দিয়েছি; এবং কেয়ামতের দিনেও তারা হবে দুর্দশাগ্রস্ত লোকদের অন্তর্ভুক্ত।[ সুরা কাসাস-৪২ ]
১৩। আল্লাহর হেদায়েতের পরিবর্তে যে ব্যক্তি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার চাইতে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না।[ সুরা কাসাস-৫০ ]
১৪। তাদেরকে দুইবার পুরস্কৃত করা হবে; কারন তারা ধৈর্যশীল এবং তারা ভাল দ্বারা মন্দের মোকাবেলা করে এবং আমি তাদেরকে যা দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।[ সুরা কাসাস-৫৪ ]
১৫। আপনি যাকে পছন্দ করেন তাকে সৎপথে আনতে পারবেন না, তবে আল্লাহ তা’আলাই যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন। এবং তিনিই ভাল জানেন কে সৎপথ অনুসরণকারী। [ সুরা কাসাস-৫৬ ]
১৬। তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে, তা পার্থিব জীবনের ভোগ ও শোভা বৈ নয়। আর আল্লাহর কাছে যা আছে, তা উত্তম ও স্থায়ী। তোমরা কি বোঝ না ? [ সুরা কাসাস-৬০ ]
১৭। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা তোমাদের দেবতাগুলিকে আহবান কর। তখন তারা ডাকবে; অতঃপর তারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে না। তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, হায়! তারা যদি সৎপথ অনুসরণ করত। [ সুরা কাসাস-৬৪ ]
১৮। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ইহকাল ও পরকালে তাঁরই প্রশংসা। বিধান তাঁরই ক্ষমতাধীন এবং তোমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। [ সুরা কাসাস-৭০ ]
১৯। পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চেয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [ সুরা কাসাস-৭৭ ]
২০। আপনি আপনার পালনকর্তার প্রতি দাওয়াত দিতে থাকুন এবং কিছুতেই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। [ সুরা কাসাস-৮৭ ]
২১। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদের মন্দ কাজগুলো মিটিয়ে দিব; এবং তাদেরকে কর্মের উৎকৃষ্টতর প্রতিদান দিব।[ সুরা আনকাবুত-৭ ]
২২। কাফেররা মুমিনদেরকে বলে, আমাদের পথ অনুসরণ কর। আমরা তোমাদের পাপভার বহন করব। অথচ তারা পাপভার কিছুতেই বহন করবে না। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। [ সুরা আনকাবুত-১২ ]
২৩। তারা নিজেদের পাপভার এবং তার সাথে আরও কিছু পাপভার বহন করবে। অবশ্য তারা যে সব মিথ্যা কথা উদ্ভাবন করে, সে সম্পর্কে কেয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে। [ সুরা আনকাবুত-১৩ ]
২৪। তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে কেবল প্রতিমারই পূজা করছ এবং মিথ্যা উদ্ভাবন করছ। তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা করছ, তারা তোমাদের রিযিকের মালিক নয়। কাজেই আল্লাহর কাছে রিযিক তালাশ কর, তাঁরই এবাদত কর এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [ সুরা আনকাবুত-১৭ ]
২৫। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন এবং যার প্রতি ইচ্ছা রহমত করেন। তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [ সুরা আনকাবুত-২১ ]
২৬। তোমরা স্থলে ও অন্তরীক্ষে আল্লাহকে ব্যর্থ করতে পারবে না এবং আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন হিতাকাঙ্খী নেই, সাহায্যকারীও নেই।[ সুরা আনকাবুত-২২ ]
২৭। যারা আল্লাহর আয়াত সমূহ ও তাঁর সাক্ষাত অস্বীকার করে, তারাই আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবে এবং তাদের জন্যেই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। [ সুরা আনকাবুত-২৩ ]
১৮। আমি প্রত্যেককেই তার অপরাধের কারণে পাকড়াও করেছি। তাদের কারও প্রতি প্রেরণ করেছি প্রস্তরসহ প্রচন্ড বাতাস, কাউকে পেয়েছে বজ্রপাত, কাউকে আমি বিলীন করেছি ভূগর্ভে এবং কাউকে করেছি নিমজ্জিত। আল্লাহ তাদের প্রতি যুলুম করেননি; কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করেছে। [ সুরা আনকাবুত-৪০ ]
১৯। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করে তাদের উদাহরণ মাকড়সা। সে নিজের জন্য ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো অধিক দুর্বল, যদি তারা জানত। [ সুরা আনকাবুত-৪১ ]
(সংগ্রীহিত : এস এম হাফিজুর রহমান নিক্সন / শাহরিয়ার কবির)

Dawa Guide

Dawa Guide