★ ১২তম ছওম এর তারাবীহ ★
আজ শুক্রবার এশার ছলাতের পর ১২তম ছওম এর তারাবীহ ছলাতে পবিত্র কোরআন থেকে ১৫তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।
১৫তম পারা (সুরা বনি-ইসরাঈলের ১নং আয়াত থেকে সুরা কা’হফের ৭৪নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
১। এই কোরআন সর্বশ্রেষ্ঠ পথ প্রদর্শন করে এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে রয়েছে মহা পুরস্কার। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-৯ ]
২। আর যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, আমি তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-১০ ]
৩। মানুষ যেভাবে কল্যাণ কামনা করে, সেভাবেই অকল্যাণ কামনা করে। মানুষ তো তার মনে যা আসে, তা চিন্তা না করেই খুবই দ্রুত প্রত্যাশাকে কামনা করে। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-১১ ]
৪। আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার গ্রীবলগ্ন করে রেখেছি। কেয়ামতের দিন বের করে দেখাব তাকে একটি কিতাব, যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-১৩ ]
৫। (আমি বলব) পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্যে তুমিই যথেষ্ট। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-১৪ ]
৬। যে কেউ সৎপথে চলে, তারা নিজের মঙ্গলের জন্যেই সৎ পথে চলে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়, তারা নিজের অমঙ্গলের জন্যেই পথভ্রষ্ট হয়। কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কোন রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকেই শাস্তি দান করি না। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-১৫ ]
৭। আল্লাহর সাথে অন্য কোন মাবুদ স্থির করো না। তাহলে তুমি নিন্দিত ও নিঃসহায় হয়ে পড়বে। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-২২ ]
৮। তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্বব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে `উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং তাদের সাথে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা বল। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-২৩ ]
৯। তাদের সামনে ভালোবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন করে তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-২৪ ]
১০। আত্নীয়-স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না। নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-২৬,২৭ ]
১১। তুমি একেবারে বদ্ধমুষ্টি হয়ো না এবং একেবারে মুক্ত হস্তও হয়ো না। তাহলে তুমি তিরস্কৃত, নিঃস্ব হয়ে বসে থাকবে। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-২৯ ]
১২। দারিদ্রের ভয়ে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই জীবনোপকরণ দিয়ে থাকি। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মারাত্নক অপরাধ। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-৩১ ]
১৩। আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-৩২ ]
১৪। মেপে দেয়ার সময় পূর্ণ মাপে দেবে এবং সঠিক দাঁড়িপাল্লায় ওজন করবে। এটা উত্তম; এবং পরিণামে উৎকৃষ্ট। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-৩৫ ]
১৫। যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-৩৬ ]
১৬। পৃথিবীতে দম্ভভরে পদচারণা করো না। নিশ্চয় তুমি তো ভূপৃষ্ঠকে কখনই বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত সমান হতে পারবে না। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-৩৭ ]
১৭। সূর্য্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত ছলাত কায়েম করুন এবং কায়েম করুন ফজরের কোরআন পাঠও। নিশ্চয় ফজরের কোরআন পাঠ স্বাক্ষী স্বরুপ। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-৭৮ ]
১৮। রাত্রির কিছু অংশে কোরআন পাঠ সহ (তাহাজ্জুদে) জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, আপনার পালনকর্তা আপনাকে মোকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-৭৯ ]
১৯। বলুন, সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েই থাকে। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-৮১ ]
২০। আমি অবতীর্ণ করেছি কোরআন, যা মুমিনের জন্য রোগের সুচিকিৎসা এবং রহমত। কিন্তু তা সীমালংঘন কারীদের শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি করে। [ সুরা বনী-ইসরাঈল-৮২ ]
২১। আপনি কোন কাজের বিষয়ে বলবেন না যে, সেটি আমি আগামীকাল করব। `আল্লাহ ইচ্ছা করলে’ (ইনশাআল্লাহ) বলা ব্যতিরেকে। [ সুরা কা’হফ-২৩,২৪ ]
২২। আমি সীমালংঘনকারীদের জন্যে অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি, যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে থাকবে। যদি তারা পানীয় প্রার্থনা করে, তবে পুঁজের ন্যায় পানীয় দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে। কত নিকৃষ্ট পানীয় এবং খুবই মন্দ আশ্রয়। [ সুরা কা’হফ-২৯ ]
২৩। যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, আমি তাদেরকে পুরস্কৃত করি; আমি সৎকর্মশীলদের কর্মফল নষ্ট করি না। [ সুরা কা’হফ-৩০ ]
২৪। ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং সৎকর্মসমূহ যার ফল স্থায়ী; ওটা আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম। [ সুরা কা’হফ-৪৬ ]
২৫। আর সেদিন উপস্থিত করা হবে আমলনামা। তাতে যা আছে তাতে আপনি অপরাধীদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখবেন। তারা বলবেঃ হায় আফসোস, এ কেমন আমলনামা। এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ যায়নি- বরং এতে সব হিসাবই রয়েছে। তারা তাদের কৃতকর্মকে সামনে উপস্থিত দেখতে পাবে। আপনার পালনকর্তা কারও প্রতি জুলুম করবেন না। [ সুরা কা’হফ-৪৯ ]
(সংগ্রীহিত : এস এম হাফিজুর রহমান নিক্সন / শাহরিয়ার কবির)