★ ১১ম ছওম এর তারাবীহ ★
আজ ১০ম রমাদান, ১৪৪৫ হিজরি, রোজ বৃহস্পতিবার এশার ছলাতের পর ১১ম ছওম এর তারাবীহ ছলাতে
১৪তম পারা থেকে (সুরা হিজরের ২নং আয়াত থেকে সুরা নাহলের ১২৮নং আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
১। আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষক। [ সুরা হিজর-৯ ]
২। আমার কাছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার রয়েছে। আমি সুষম পরিমানেই তা সরবরাহ করি। [ সুরা হিজর-২১ ]
৩। আমিই জীবন দান করি, আমিই মৃত্যু দান করি এবং আমিই চুড়ান্ত মালিকানার অধিকারী। [ সুরা হিজর-২৩ ]
৪। আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি পচা কর্দমা থেকে তৈরী শুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা। [ সুরা হিজর-২৬ ]
৫। যারা পথভ্রষ্ট তারা ছাড়া আর কে তার রবের অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয় ? [ সুরা হিজর-৫৬ ]
৬। আমি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী যা আছে তা অযথা সৃষ্টি করিনি। কেয়ামত অবশ্যই আসবে। অতএব পরম ঔদাসীন্যের সাথে ওদের ক্রিয়াকর্ম উপেক্ষা করুন। [ সুরা হিজর-৮৫ ]
৭। বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট। [ সুরা হিজর-৯৫ ]
৮। তিনি মানুষকে এক ফোটা বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন। অথচ সে হয়ে গেলো প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী। [ সুরা নাহল-৪ ]
৯। যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। [ সুরা নাহল-১৮ ]
১০। যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যদের ডাকে, ওরা তো কোন বস্তুই সৃষ্টি করে না; বরং ওরা নিজেরাই সৃজিত। [ সুরা নাহল-২০ ]
১১। আমাদের ইলাহ একক ইলাহ। [ সুরা নাহল-২২ ]
১২। তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে। [ সুরা নাহল-৩৬ ]
১৩। আমি যখন কোন কিছু করার ইচ্ছা করি; তখন তাকে কেবল এতটুকুই বলি যে, হয়ে যাও। সুতরাং তা হয়ে যায়। [ সুরা নাহল-৪০ ]
১৪। যারা নির্যাতিত হওয়ার পর আল্লাহর পথে হিজরত করেছে, আমি অবশ্যই তাদেরকে দুনিয়াতে উত্তম আবাস দেব এবং পরকালের পুরস্কার তো শ্রেষ্ঠ। হায়, যদি তারা জানত। [ সুরা নাহল-৪১ ]
১৫। তোমরা দুই ইলাহ গ্রহণ করো না, ইলাহ তো মাত্র একজনই। অতএব আমাকেই ভয় কর। [ সুরা নাহল-৫১ ]
১৬। যদি আল্লাহ লোকদেরকে তাদের অন্যায় কাজের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে চলমান কোন কিছুকেই ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুত সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহুর্তও বিলম্বিত কিংবা তরাম্বিত করতে পারবে না। [ সুরা নাহল-৬১ ]
১৭। আপনার পালনকর্তা মৌমাছিকে আদেশ দিলেনঃ পর্বত, বৃক্ষ এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর, এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে। [ সুরা নাহল-৬৮,৬৯ ]
১৮। তোমরা আল্লাহর কোন সদৃশ সাব্যস্ত করো না, নিশ্চয় আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না। [ সুরা নাহল-৭৪ ]
১৯। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য আল্লাহর কাছেই রয়েছে। কিয়ামতের ব্যাপারটি তো এমন, যেমন চোখের পলক অথবা তার চাইতেও নিকটবর্তী। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান। [ সুরা নাহল-৭৭ ]
২০। আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর দিয়েছেন, যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার কর। [ সুরা নাহল-৭৮ ]
২১। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ চিনে, কিন্তু সেগুলো তারা অস্বীকার করে এবং তাদের অধিকাংশই কাফের। [ সুরা নাহল-৮৩ ]
২২। আমি কাফেরদের উপর এবং আল্লাহর পথে বাধা দানকারীদের উপর আযাবের পর আযাব বাড়িয়ে দেব। কারণ, তারা অশান্তি সৃষ্টি করত। [ সুরা নাহল-৮৮ ]
২৩। আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুমিনদের জন্যে সুসংবাদ। [ সুরা নাহল-৮৯ ]
২৪। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্নীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন; এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎ কাজ এবং সীমা লংঘন করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহন কর। [ সুরা নাহল-৯০ ]
২৫। তোমরা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করো না। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে যা আছে, তোমাদের জন্যে তা উত্তম, যদি তোমরা জানতে। [ সুরা নাহল-৯৫ ]
২৬। যখন আপনি কোরআন পাঠ করেন তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করুন। [ সুরা নাহল-৯৮ ]
২৭। তার (শয়তানের) কোন আধিপত্য নেই তাদের উপর, যারা ঈমান এনেছে এবং আপন রবের উপরই ভরসা রাখে। [ সুরা নাহল-৯৯ ]
২৮। তার (শয়তানের) আধিপত্য তো তাদের উপরই চলে, যারা তাকে বন্ধু মনে করে এবং যারা তাকে অংশীদার মানে। [ সুরা নাহল-১০০ ]
২৯। যারা নির্যাতিত হওয়ার পর হিজরত করে, পরে জেহাদ করে, এবং ধৈর্য্য ধারন করে; নিশ্চয় আপনার রব এসব বিষয়ের পর অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [ সুরা নাহল-১১০ ]
৩০। অনন্তর যারা অজ্ঞতাবশতঃ পাপ কাজ করে, অতঃপর তওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, আপনার পালনকর্তা এসবের পরে তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়ালু। [ সুরা নাহল-১১৯ ]
৩১। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সঙ্গে আছেন, যারা পরহেযগার এবং যারা সৎকর্ম করে। [ সুরা নাহল-১২৮ ]
(সংগ্রীহিত : এস এম হাফিজুর রহমান নিক্সন / শাহরিয়ার কবির)