★ ১০ম ছওম এর তারাবীহ ★
আজ ৯ম রমাদান, ১৪৪৫ হিজরি, রোজ বুধবার এশার ছলাতের পর ১০ম ছওম এর তারাবীহ ছলাতে পবিত্র কোরআন থেকে ১৩তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।
১৩তম পারা থেকে ( সুরা ইউসুফের ৫৩নং আয়াত থেকে সুরা হিজরের ১নং আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
১। নিশ্চয়ই মানুষের মন মন্দকর্ম প্রবণ; কিন্তু আমার পালনকর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন, সে ব্যতীত। নিশ্চয় আমার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু। [ সুরা ইউসুফ-৫৩ ]
২। নির্দেশ আল্লাহরই চলে। তাঁরই উপর আমি ভরসা করি এবং তাঁরই উপর ভরসা করা উচিত ভরসাকারীদের। [ সুরা ইউসুফ-৬৭ ]
৩। আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতা একমাত্র আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি। [ সুরা ইউসুফ-৮৬ ]
৪। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না। [ সুরা ইউসুফ-৮৭ ]
৫। নিশ্চয়ই যে তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সবর করে, আল্লাহ সেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না। [ সুরা ইউসুফ-৯০ ]
৬। আমার পালনকর্তা যা চান, তা কৌশলে সম্পন্ন করেন। নিশ্চয় তিনি বিজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। [ সুরা ইউসুফ-১০০ ]
৭। অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে। [ সুরা ইউসুফ-১০৬ ]
৮। আল্লাহ জানেন প্রত্যেক নারী যা গর্ভধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা সঙ্কুচিত ও বর্ধিত হয়। [ সুরা রা’দ-৮ ]
৯। তিনি সকল গোপন ও প্রকাশ্য বিষয় অবগত, মহোত্তম, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান। [ সুরা রা’দ-৯ ]
১০। আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। [ সুরা রা’দ-১১ ]
১১। যারা পালনকর্তার আদেশ পালন করে, তাদের জন্য উত্তম প্রতিদান রয়েছে। এবং যারা আদেশ পালন করে না -যদি তাদের কাছে জগতের সবকিছু থাকে এবং তার সাথে তার সমপরিমাণ আরও থাকে, তবে সবই নিজেদের মুক্তিপণ স্বরূপ দিয়ে দেবে। তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর হিসাব। তাদের আবাস হবে জাহান্নাম। সেটা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান। [ সুরা রা’দ-১৮ ]
১২। যারা স্বীয় পালনকর্তার সন্তুষ্টির জন্যে সবর করে, ছলাত প্রতিষ্টা করে, আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্য ব্যয় করে, এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে, তাদের জন্যে রয়েছে পরকালের গৃহ। [ সুরা রা’দ-২২ ]
১৩। জান্নাত হচ্ছে বসবাসের বাগান। তাতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের সৎকর্মশীল বাপ-দাদা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানেরা থাকবে। ফেরেশতারা তাদের কাছে আসবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে। [ সুরা রা’দ-২৩ ]
১৪। (ফেরেশতারা) বলবেঃ তোমাদের সবরের কারণে তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আর তোমাদের এ পরিণাম- এ গৃহ কতই না চমৎকার। [ সুরা রা’দ-২৪ ]
১৫। এবং যারা আল্লাহর অঙ্গীকারকে দৃঢ় ও পাকা-পোক্ত করার পরও তা ভঙ্গ করে, আল্লাহ যে সম্পর্ক বজায় রাখতে আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে, ওরা ঐ সমস্ত লোক যাদের জন্যে রয়েছে অভিসম্পাত এবং ওদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব। [ সুরা রা’দ-২৫ ]
১৬। আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রুযী প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। তারা পার্থিব জীবনের প্রতি মুগ্ধ। পার্থিবজীবন পরকালের সামনে অতি সামান্য সম্পদ বৈ কিছু নয়। [ সুরা রা’দ-২৬ ]
১৭। যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়। [ সুরা রা’দ-২৮ ]
১৮। যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ এবং মনোরম প্রত্যাবর্তণস্থল। [ সুরা রা’দ-২৯ ]
১৯। বলুনঃ তিনিই আমার পালনকর্তা। তিনি ব্যতীত কারও উপাসনা নাই। আমি তাঁর উপরই ভরসা করেছি এবং তাঁর দিকেই আমার প্রত্যাবর্তণ। [ সুরা রা’দ-৩০ ]
২০। বলুন, আমাকে এরূপ আদেশই দেয়া হয়েছে যে, আমি আল্লাহর এবাদত করি। এবং তাঁর সাথে অংশীদার না করি। আমি তাঁর দিকেই দাওয়াত দেই এবং তাঁর কাছেই আমার প্রত্যাবর্তন। [ সুরা রা’দ-৩৬ ]
২১। আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথঃভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথ প্রদর্শন করেন। তিনি পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়। [ সুরা ইবরাহীম-৪ ]
২২। তোমরা এবং পৃথিবীর সবাই যদি কুফরী কর, তথাপি আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, যাবতীয় গুনের আধার। [ সুরা ইবরাহীম-৮ ]
২৩। ঈমানদারদের আল্লাহর উপরই ভরসা করা উচিত। [ সুরা ইবরাহীম-১১ ]
২৪। ভরসাকারিগণের আল্লাহর উপরই ভরসা করা উচিত। [ সুরা ইবরাহীম-১২ ]
২৫। তার পেছনে দোযখ রয়েছে। তাতে পূঁজ মিশানো পানি পান করানো হবে। ঢোক গিলে তা পান করবে। এবং গলার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রতি দিক থেকে তার কাছে মৃত্যু আগমন করবে এবং সে মরবে না। তার পশ্চাতেও রয়েছে কঠোর আযাব। [ সুরা ইবরাহীম-১৬,১৭ ]
২৬। আমার বান্দাদেরকে বলে দিনঃ যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তারা ছলাত কায়েম রাখুক এবং আমার দেয়া রিযিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করুক ঐদিন আসার আগে, যেদিন কোন বেচাকেনা নেই এবং বন্ধুত্বও নেই। [ সুরা ইবরাহীম-৩১ ]