★ ৯ম ছওম এর তারাবীহ ★
আজ ৮ম রমাদান, ১৪৪৫ হিজরি, রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এশার ছলাতের পর ৯ম ছওম এর তারাবীহ ছলাতে পবিত্র কোরআন থেকে ১২তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।
১২তম পারা থেকে ( সুরা হুদের ৬নং আয়াত থেকে সুরা ইউসুফের ৫২নং আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
১। যারা ধৈর্য্যধারণ করেছে এবং সৎকার্য করেছে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান । [ সুরা হুদ-১১ ]
২। যে ব্যক্তি পার্থিবজীবন ও তার চাকচিক্যই কামনা করে, হয় আমি তাদের দুনিয়াতেই তাদের আমলের প্রতিফল ভোগ করিয়ে দেব এবং তাতে তাদের প্রতি কিছুমাত্র কমতি করা হবে না। এরাই হল সেসব লোক, আখেরাতে যাদের জন্য আগুন ছাড়া কিছু নেই। তারা এখানে যা কিছু করেছিল সবই বরবাদ করেছে; আর যা কিছু উপার্জন করেছিল, সবই বিনষ্ট হল। [ সুরা হুদ-১৫,১৬ ]
৩। যারা আল্লাহর পথে বাধা দেয়, আর তাতে বক্রতা খুঁজে বেড়ায়, এরাই হলো আখরাতকে অস্বীকারকারী। [ সুরা হুদ-১৯ ]
৪। নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে এবং স্বীয় পালনকর্তার সমীপে বিনতি প্রকাশ করেছে তারাই বেহেশতবাসী, সেখানেই তারা চিরকাল থাকবে। [ সুরা হুদ-২৩ ]
৫। আমি আল্লাহর উপর নিশ্চিত ভরসা করেছি যিনি আমার এবং তোমাদের পরওয়ারদেগার। পৃথিবীর বুকে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নাই যা তাঁর র্পূণ আয়ত্তাধীন নয়। আমার পালনকর্তার সরল পথে কোনই সন্দেহ নেই। [ সুরা হুদ-৫৬ ]
৬। নিশ্চয়ই আমার পরওয়ারদেগারই প্রতিটি বস্তুর হেফাজতকারী। [ সুরা হুদ-৫৭ ]
৭। আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা যেসব মাবুদকে ডাকতো আপনার পালনকর্তার হুকুম যখন এসে পড়ল, তখন কেউ তাদের কোন কাজে আসল না। তারা শুধু বিপর্যয়ই বৃদ্ধি করল। [ সুরা হুদ-১০১ ]
৮। নিশ্চয় আল্লাহর পাকড়াও খুবই মারাত্নক, বড়ই কঠোর। [ সুরা হুদ-১০২ ]
৯। নিশ্চয় ইহার মধ্যে নিদর্শন রয়েছে এমন প্রতিটি মানুষের জন্য যে আখেরাতের আযাবকে ভয় করে। উহা এমন একদিন, যে দিন সব মানুষই সমবেত হবে, সেদিনটি যে হাজিরার দিন। [ সুরা হুদ-১০৩ ]
১০। যেদিন তা আসবে, সেদিন আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ কোন কথা বলতে পারবে না। অতঃপর কিছু লোক হবে হতভাগ্য, আর কিছু লোক হবে সৌভাগ্যবান। [ সুরা হুদ-১০৫ ]
১১। অতএব, তারা যেসবের পূজা উপাসনা করে তুমি সে ব্যাপারে কোনরূপ ধোঁকায় পড়বে না। তাদের পূর্ববর্তী বাপ-দাদারা যেমন পূজা উপাসনা করত, এরাও তেমনটা করছে। আর নিশ্চয় আমি তাদেরকে আযাবের ভাগ কিছু মাত্রও কম না করেই পুরোপুরি দান করবো। [ সুরা হুদ-১০৯ ]
১২। আর পাপিষ্ঠদের প্রতি ঝুঁকবে না। নতুবা তোমাদেরকেও আগুনে ধরবে। আর আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু নাই। অতএব কোথাও সাহায্য পাবে না। [ সুরা হুদ-১১৩ ]
১৩। আর ধৈর্য্যধারণ কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ পূণ্যবানদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না। [ সুরা হুদ-১১৫ ]
১৪। তোমার পালনকর্তা যাদের উপর রহমত করেছেন, তারা ব্যতীত সবাই চিরদিন মতভেদ করতেই থাকবে এবং এজন্যই তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আর তোমার আল্লাহর কথাই পূর্ণ হল যে, অবশ্যই আমি জাহান্নামকে জ্বিন ও মানুষ দ্বারা একযোগে ভর্তি করব। [ সুরা হুদ-১১৯ ]
১৫। আর আল্লাহর কাছেই আছে আসমান ও যমীনের যাবতীয় গোপন তথ্য; আর সকল কাজের প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে; অতএব, তাঁরই বন্দেগী কর এবং তাঁর উপরই ভরসা রাখ; আর তোমাদের কার্যকলাপ সম্বন্ধে তোমার পালনকর্তা কিন্তু বে-খবর নন। [ সুরা হুদ-১২৩ ]
১৬। পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? [ সুরা ইউসুফ-৩৯ ]