আজকের তারাবীহ্ ছলাত
★ ৩য় ছওম এর তারাবীহ ★
আজ ২য় রমাদান, ১৪৪৫ হিজরি, রোজ বুধবার ৩য় ছওম এর তারাবীহ ছলাতে পবিত্র কোরআন থেকে সর্বমোট দেড় পারা (সম্পুর্ন চতুর্থ পারা এবং পঞ্চম পারার প্রথম অর্ধেকাংশ) তেলাওয়াত করা হবে। এই দেড় পারা থেকে (সুরা আল ইমরানের ৯৩ আয়াত থেকে সুরা নিসার ৮৭ আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
১। আল্লাহর প্রতি যারা মিথ্যা আরোপ করেছে, তারাই যালেম সীমালংঘনকারী। [ সুরা আল ইমরান- ৯৪ ]
২। (কাবা) ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য, যে লোকের সামর্থ রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার। [ সুরা আল ইমরান-৯৭ ]
৩। হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।
[ সুরা আল ইমরান-১০২ ]
৪। তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। [ সুরা আল ইমরান-১০৩ ]
৫। তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম। [ সুরা আল ইমরান-১০৪ ]
৬। যা কিছু আসমান ও যমীনে রয়েছে সে সবই আল্লাহর, এবং আল্লাহর প্রতিই সব কিছু প্রত্যাবর্তনশীল। [ সুরা আল ইমরান-১০৯ ]
৭। তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের বের ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। [ সুরা আল ইমরান-১১০ ]
৮। নিশ্চয় যারা কাফের হয়, তাদের ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর সামনে কখনও কোন কাজে আসবে না। আর তারাই হলো দোযখের আগুনের অধিবাসী। তারা সে আগুনে চিরকাল থাকবে। [ সুরা আল ইমরান-১১৬ ]
৯। হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না, তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি
১০। তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। [ সুরা আল ইমরান- ১১৮ ]
১১। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপরই ভরসা করা। [ সুরা আল ইমরান-১২২ ]
১২। হে ঈমানদারগণ, তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। [ সুরা আল ইমরান-১৩০ ]
১৩। তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়। [ সুরা আল ইমরান-১৩২ ]
১৪। তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে, কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে, আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? …. তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ, যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। [ সুরা আল ইমরান-১৩৫,১৩৬ ]
১৫। তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে তোমরাই জয়ী হবে। [ সুরা আল ইমরান-১৩৯ ]
১৬। তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল। [ সুরা আল ইমরান-১৪২ ]
১৭। যে লোক দুনিয়ায় বিনিময় কামনা করবে, আমি তাকে তা দুনিয়াতেই দান করব। পক্ষান্তরে- যে লোক আখেরাতে বিনিময় কামনা করবে, তা থেকে আমি তাকে তাই দেবো। আর যারা কৃতজ্ঞ তাদেরকে আমি প্রতিদান দেবো [ সুরা আল ইমরান-১৪৫ ]
১৮। বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে, আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি, এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [ সুরা আল ইমরান-১৪৬ ]
১৯। আল্লাহ তোমাদের সাহায্যকারী, আর তাঁর সাহায্যই হচ্ছে উত্তম সাহায্য। [ সুরা আল ইমরান-১৫০ ]