আজকের তারাবীহ্ ছলাত
★ ২০তম ছওম এর তারাবীহ ★
আজ ১৯তম রমাদান, ১৪৪৫ হিজরি শনিবার এশার ছলাতের পর ২০তম ছওম এর তারাবীহ ছলাতে পবিত্র কোরআন থেকে ২৩তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।
২৩তম পারা (সুরা ইয়া-সীনের ২২নং আয়াত থেকে সুরা যুমারের ৩১নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
১। পবিত্র মহান তিনি, যিনি উদ্ভিদ, মানুষ এবং তারা যাদেরকে জানেনা, তাদের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়। [ সুরা ইয়া-সীন-৩৬ ]
২। সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা; এবং প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [ সুরা ইয়া-সীন-৪০ ]
৩। যখন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে আসবে। [ সুরা ইয়া-সীন-৫১ ]
৪। আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিফল পাবে। [ সুরা ইয়া-সীন-৫৪ ]
৫। এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মগ্ন থাকবে। [ সুরা ইয়া-সীন-৫৫ ]
৬। তারা এবং তাদের সঙ্গিনীরা সুশীতল ছায়ায় সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসবে। [ সুরা ইয়া-সীন-৫৬ ]
৭। সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফলমূল এবং থাকবে যা তারা ফরমায়েশ করবে। [ সুরা ইয়া-সীন-৫৭ ]
৮। করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে ‘সালাম’। [ সুরা ইয়া-সীন-৫৮ ]
৯। আর হে অপরাধীরা! আজ তোমরা পৃথক হয়ে যাও। [ সুরা ইয়া-সীন-৫৯ ]
১০। হে আদম সন্তান! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? [ সুরা ইয়া-সীন-৬০ ]
১১। এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো। [ সুরা ইয়া-সীন-৬৩ ]
১২। আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব, তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে। [ সুরা ইয়া-সীন-৬৫ ]
১৩। মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্র বিন্দু থেকে? অথচ পরে সে হয়ে পরে প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী। [ সুরা ইয়া-সীন-৭৭ ]
১৪। তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন কেবল বলে দেন, `হও’ ; তখনই তা হয়ে যায়। [ সুরা ইয়া-সীন-৮২ ]
১৫। অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [ সুরা ইয়া-সীন-৮৩ ]
১৬। তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে। তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে।
তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা। তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি; ফল-মূল এবং তারা হবে সম্মানিত।
নেয়ামতের উদ্যানসমূহ; তারা মুখোমুখি আসনে আসীন হবে।
তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সূরাপূর্ণ পাত্র, স্বচ্ছ সুশুভ্র, যা হবে পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু।
তাতে ক্ষতিকর কোন উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না।
আর তাদের সংগে থাকবে নত, আয়তলোচনা হুরবৃন্দ। যেন তারা সুরক্ষিত ডিম। [ সুরা সাফফাত-৩৮-৪৯ ]
১৭। নিশ্চয় এই মহা সাফল্য।
এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত। [ সুরা সাফফাত-৬০,৬১ ]
১৮। এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ?
আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি।
এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে।
এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত।
কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে। তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ, অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে। [ সুরা সাফফাত-৬২-৬৮ ]
১৯। ইব্রাহীম বললঃ তোমরা নিজেরা যাদেরকে স্বহস্তে খোদাই করে নির্মান কর, তোমরা কি তাদেরই পূজা কর? অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন। [ সুরা সাফফাত-৯৫,৯৬ ]
২০। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি, এ কারণে যে, তারা হিসাবদিবসকে ভূলে যায়। [ সুরা সা’দ-২৬ ]
২১। আমি আসমান-যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী কোন কিছু অযথা সৃষ্টি করিনি। [ সুরা সা’দ-২৭ ]
২২। জেনে রাখ, অবিমিশ্র এবাদত আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের উপাসনা এ জন্যেই করি যে, যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফের, আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না। [ সুরা যুমার-৩ ]
২৩। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একই ব্যক্তি থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন; এবং তিনি তোমাদের জন্যে দিয়েছেন আট প্রকার গৃহপালিত পশু। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে। তিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা, সার্বভৌমত্ব তাঁরই। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ? [ সুরা যুমার-৬ ]
২৪। যদি তোমরা অস্বীকার কর, তবে আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। তিনি তাঁর বান্দাদের অকৃতজ্ঞতা পছন্দ করেন না। পক্ষান্তরে যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তবে তিনি তোমাদের জন্যে তা পছন্দ করেন। একের পাপের ভার অন্যে বহন করবে না। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ফিরে যাবে। তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন। নিশ্চয় তিনি অন্তরের বিষয় সম্পর্কেও অবগত। [ সুরা যুমার-৭ ]
২৫। হে আমার বিশ্বাসী বান্দাগণ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়াতে সৎকাজ করে, তাদের জন্যে রয়েছে পুণ্য। আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। যারা সবরকারী, তারাই তাদের পুরস্কার পায় অগণিত। [ সুরা যুমার-১০ ]
২৬। যারা শয়তানী শক্তির পূজা-অর্চনা থেকে দূরে থাকে এবং আল্লাহ অভিমুখী হয়, তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ। অতএব, সুসংবাদ দিন আমার বান্দাদেরকে। [ সুরা যুমার-১৭ ]
২৭। আল্লাহ উত্তম বাণী তথা কিতাব নাযিল করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার উপর, যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে; এরপর তাদের চামড়া ও অন্তর আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়। এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ, এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই। [ সুরা যুমার-২৩ ]
(সংগ্রীহিত : এস এম হাফিজুর রহমান নিক্সন / শাহরিয়ার কবির)