১। তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত হবে এবং সৎকর্ম করবে, আমি তাকে দুবার পুরস্কার দেব; এবং তার জন্য আমি সম্মানজনক রিযিক প্রস্তুত রেখেছি। [ সুরা আহযাব-৩১ ]
২। নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালনকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার। [ সুরা আহযাব-৩৫ ]
৩। আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না। কেহ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করলে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়। [ সুরা আহযাব-৩৬ ]
৪। মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বজ্ঞাত। [ সুরা আহযাব-৪০ ]
৫। মুমিনগণ তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর। [ সুরা আহযাব-৪১ ]
৬। তিনিই তোমাদের প্রতি রহমত করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণও তোমাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন-অন্ধকার থেকে তোমাদেরকে আলোয় নিয়ে আসার জন্য। তিনি মুমিনদের প্রতি পরম দয়ালু। [ সুরা আহযাব-৪৩ ]
৭। আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের উৎপীড়ন উপেক্ষা করুন ও আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ কার্যনিবার্হীরূপে যথেষ্ট। [ সুরা আহযাব-৪৮ ]
৮। আল্লাহ তাঁর নবীর প্রতি রহমত করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণও তাঁর নবীর জন্য রহমতের দোয়া করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। [ সুরা আহযাব-৫৬ ]
৯। যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি। [ সুরা আহযাব-৫৭ ]
১০। হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। [ সুরা আহযাব-৫৯ ]
১১। লোকেরা আপনাকে কেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহর কাছেই। আপনি কি করে জানবেন যে সম্ভবতঃ কেয়ামত নিকটেই। [ সুরা আহযাব-৬৩ ]
১২। তারা বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল।
হে আমাদের পালনকর্তা! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদেরকে মহা অভিসম্পাত করুন। [ সুরা আহযাব-৬৭,৬৮ ]
১৩। কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ; সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে। [ সুরা সা’বা-৩ ]
১৪। যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়, তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। [ সুরা সা’বা-৫ ]
১৫। যখন আমি সোলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন জিনদেরকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল ঘুণ পোকাই, যা সোলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। যখন সোলায়মান মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে, জিনদের যদি অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান থাকতো, তাহলে তারা এই লাঞ্ছনাপূর্ণ শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতো না। [ সুরা সা’বা-১৪ ]
১৬। যেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন এবং ফেরেশতাদেরকে বলবেন, এরা কি তোমাদেরই পূজা করত? [ সুরা সা’বা-৪০ ]
১৭। ফেরেশতারা বলবে, আপনি পবিত্র; আমরা আপনার পক্ষে, তাদের পক্ষে নই, বরং তারা জিনদের পূজা করত। তাদের অধিকাংশই শয়তানে বিশ্বাসী। [ সুরা সা’বা-৪১ ]
১৮। অতএব আজকের দিনে তোমরা একে অপরের কোন উপকার ও অপকার করার অধিকারী হবে না। আর আমি জালেমদেরকে বলব, তোমরা আগুনের যে শাস্তিকে মিথ্যা বলতে তা আস্বাদন কর। [ সুরা সা’বা-৪২ ]
১৯। বলুন, আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না বরং তা তোমরাই রাখ। আমার পুরস্কার তো আল্লাহর কাছে রয়েছে। তিনি প্রত্যেক বস্তুরই দ্রষ্টা। [ সুরা সা’বা-৪৭ ]
২০। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা এবং ফেরেশতাগণকে করেছেন বার্তাবাহ; তারা দুই-দুই, তিন-তিন ও চার-চার পাখাবিশিষ্ট। তিনি তার সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা যোগ করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। [ সুরা ফাতির-১ ]
২১। হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে। [ সুরা ফাতির-৫ ]
২২। তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন। তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকটি আবর্তন করে এক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত। ইনি আল্লাহ; তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর আঁটিরও অধিকারী নয়। [ সুরা ফাতির-১৩ ]
২৩। যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার যাতে কখনও লোকসান হবে না। [ সুরা ফাতির-২৯ ]
২৪। আপনি আল্লাহর বিধানে কোন পরিবর্তন পাবেন না এবং আল্লাহর রীতি-নীতিতে কোন রকম বিচ্যুতিও পাবেন না। [ সুরা ফাতির-৪৩ ]
২৫। যদি আল্লাহ মানুষকে তাদের কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে চলমান কাউকে ছেড়ে দিতেন না। কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর যখন সে নির্দিষ্ট মেয়াদ এসে যাবে তখন আল্লাহ হবেন তাঁর বান্দাদের সম্যক দ্রষ্টা। [ সুরা ফাতির-৪৫ ]
২৬। আমিই মৃতদেরকে জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি। [ সুরা ইয়া-সীন-১২ ]
২৭। হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা রসূলগণের অনুসরণ কর। অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত। [ সুরা ইয়া-সীন-২০,২১ ]
(সংগ্রীহিত : এস এম হাফিজুর রহমান নিক্সন / শাহরিয়ার কবির)