★ ১৮তম ছওম এর তারাবীহ ★
আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ১৮তম ছওম এর তারাবীহ ছলাতে পবিত্র কোরআন থেকে ২১তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।
২১তম পারা (সুরা আনকাবুতের ৪৫নং আয়াত থেকে সুরা আহযাবের ৩০নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
১। নিশ্চয়ই ছলাত অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। [ সুরা আনকাবুত-৪৫ ]
২। হে ঈমানদার বান্দাগণ, আমার পৃথিবী প্রশস্ত। অতএব তোমরা আমারই এবাদত কর। [ সুরা আনকাবুত-৫৬ ]
৩। জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতঃপর তোমরা আমারই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। [ সুরা আনকাবুত-৫৭ ]
৪। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা হ্রাস করেন। নিশ্চয়, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত। [ সুরা আনকাবুত-৬২ ]
৫। এই পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক বৈ তো কিছুই নয়। আর পরকালের গৃহই প্রকৃত জীবন; যদি তারা জানত। [ সুরা আনকাবুত-৬৪ ]
৬। যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা কথা তৈরি করে, অথবা তার কাছে সত্য আসার পর তাকে অস্বীকার করে, তার কি স্মরণ রাখা উচিত নয় যে, জাহান্নামই সেসব কাফেরের আশ্রয়স্থল হবে? [ সুরা আনকাবুত-৬৮ ]
৭। যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা হতাশ হয়ে যাবে। তাদের দেবতাগুলোর মধ্যে কেউ তাদের সুপারিশ করবে না। এবং তারা তাদের দেবতাকে অস্বীকার করবে। [ সুরা রূম-১২,১৩ ]
৮। আর যারা কাফের এবং আমার আয়াতসমূহ ও পরকালের সাক্ষাতকারকে মিথ্যা বলছে, তাদেরকেই আযাবের মধ্যে উপস্থিত করা হবে।
[ সুরা রূম-১৬ ]
৯। তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ কর সন্ধ্যায় ও সকালে, এবং অপরাহ্নে ও মধ্যাহ্নে। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে, প্রশংসা তাঁরই।
[ সুরা রূম-১৭,১৮ ]
১০। আল্লাহর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক; এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। [ সুরা রূম-২১ ]
১১। আল্লাহর আরও এক নিদর্শন হচ্ছে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃজন এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
[ সুরা রূম-২২ ]
১২। তুমি একনিষ্ঠভাবে নিজেকে ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। এটাই আল্লাহর প্রকৃতি, যার উপর তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল ধর্ম। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। [ সুরা রূম-৩০ ]
১৩। সবাই আল্লাহ অভিমুখী হও এবং তাঁকে ভয় কর, ছলাত কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। [ সুরা রূম-৩১ ]
১৪। আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর রিযিক দিয়েছেন, এরপর তোমাদের মৃত্যু দেবেন, এরপর তোমাদের জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে এসব কাজের মধ্যে কোন একটিও করতে পারবে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মহান। [ সুরা রূম-৪০ ]
১৫। মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। [ সুরা রূম-৪৭ ]
১৬। আল্লাহ দূর্বল অবস্থায় তোমাদের সৃষ্টি করেন, অতঃপর দূর্বলতার পর শক্তিদান করেন, অতঃপর শক্তির পর দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান। [ সুরা রূম-৫৪ ]
১৭। আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোড় নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু’বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে। [ সুরা লুকমান-১৪ ]
১৮। ছলাত কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ। [ সুরা লুকমান-১৭ ]
১৯। অহংকারবশে মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। [ সুরা লুকমান-১৮ ]
২০। পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর। [ সুরা লুকমান-১৯ ]
২১। পৃথিবীতে যত বৃক্ষ আছে, সবই যদি কলম হয় এবং সমুদ্রের সাথেও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়ে কালি হয়, তবুও আল্লাহর বাক্যাবলী লিখে শেষ করা যাবে না। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [ সুরা লুকমান-২৭ ]
২২। হে মানব জাতি! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, এবং ভয় কর এমন এক দিবসকে, যখন পিতা পুত্রের কোন কাজে আসবে না এবং পুত্রও তার পিতার কোন উপকার করতে পারবে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতএব, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয় এবং আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারক শয়তানও যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে। [ সুরা লুকমান-৩৩ ]
২৩। নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।
[ সুরা লুকমান-৩৪ ]
২৪। আমি জিন ও মানব সকলকে দিয়ে অবশ্যই জাহান্নাম পূর্ণ করব। [ সুরা সাজদা-১৩ ]
২৫। কেউ জানে না তার জন্যে তার কৃতকর্মের পরিনামে কি কি নয়ন-প্রীতিকর প্রতিদান লুক্কায়িত আছে। [ সুরা সাজদা-১৭ ]
২৬। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে তাদের কৃতকর্মের আপ্যায়নস্বরূপ বসবাসের জান্নাত। [ সুরা সাজদা-১৯ ]
২৭। যে ব্যক্তিকে তার পালনকর্তার আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশ দান করার পরও, সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে যালেম আর কে? আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব। [ সুরা সাজদা-২২ ]
২৮। ফয়সালার দিনে কাফেরদের ঈমান তাদের কোন কাজে আসবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না। [ সুরা সাজদা-২৯ ]
২৯। আল্লাহর উপর ভরসা কর। কার্যনির্বাহীরূপে আল্লাহই যথেষ্ট। [ সুরা আহযাব-৩ ]
৩০। নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং নবীর স্ত্রীগণ মুমিনদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে। [ সুরা আহযাব-৬ ]
৩১। যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।
[ সুরা আহযাব-২১ ]
৩২। হে নবী, আপনার পত্নীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে আস, আমি তোমাদের ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদের বিদায় দেই। [ সুরা আহযাব-২৮ ]
৩৩। পক্ষান্তরে, যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূল ও পরকাল কামনা কর, তবে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের জন্য আল্লাহ মহাপুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন। [ সুরা আহযাব-২৯ ]
(সংগ্রীহিত : এস এম হাফিজুর রহমান নিক্সন / শাহরিয়ার কবির)