মরণাপন্ন ব্যক্তিকে তালক্বীন (কালেমা স্মরণ করিয়ে দেওয়া)
মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর দো‘আ
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِفُلَانٍ (بِاسْمِهِ) وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِيْ الْمَهْدِيِّيْنَ- وَاخْلُفْهُ فِيْ عَقِبِهِ فِيْ الْغَابِرِيْنَ- وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ- وَافْسَحْ لَهُ فِيْ قَبْرِهِ وَنَوِّرْ لَهُ فِيْهِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লি ফুলা-নিন (মৃতের নাম বলবে) ওয়ারফা‘ দারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যীন, ওয়াখলুফহু ফী ‘আক্বিবিহী ফিল গা-বিরীন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রব্বাল আ-লামীন। ওয়াফসাহ্ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাউইর লাহু ফী-হি।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি অমুককে (মৃত ব্যক্তির নাম ) ক্ষমা করুন; যারা হেদায়াত লাভ করেছে, তাদের মাঝে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন; যারা রয়ে গেছে তাদের মাঝে তার বংশধরদের ক্ষেত্রে আপনি তার প্রতিনিধি হোন। হে সৃষ্টিকুলের রব! আমাদের ও তার গুনাহ মাফ করে দিন। তার জন্য তার কবরকে প্রশস্ত করে দিন এবং তার জন্য তা আলোকময় করে দিন।
রেফারেন্সঃ মুসলিম।
মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ- وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ- وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ- وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ- وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الَابْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ- وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِّنْ دَارِهِ- وَأَهْلاً خَيْراً مِّنْ أَهْلِهِ- وَزَوْجَاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ- وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ- وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ وَعَذَابِ النَّارِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, ওয়ারহামহু, ওয়া ‘আ-ফিহি, ওয়া‘ফু ‘আনহু, ওয়া আকরিম নুযুলাহু, ওয়াওয়াসসি‘ মুদখালাহু, ওয়াগসিলহু বিলমা-য়ি ওয়াস্সালজি ওয়ালবারাদি, ওয়ানাক্বক্বিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা নাক্কাইতাস সাওবাল আবইয়াদা মিনাদদানাসি, ওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহি, ওয়া আহলান খাইরাম মিন আহলিহি, ওয়া যাওজান খাইরাম মিন যাওজিহি, ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আ‘য়িযহু মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি [ওয়া ‘আযাবিন্না-র]
অর্থঃ হে আল্লাহ, অমুকের পুত্র অমুক আপনার যিম্মাদারীতে, আপনার প্রতিবেশিত্বের নিরাপত্তায়; সুতরাং আপনি তাকে কবরের পরীক্ষা থেকে এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। আর আপনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণকারী এবং প্রকৃত সত্যের অধিকারী। অতএব, আপনি তাকে ক্ষমা করুন এবং তার উপর দয়া করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।
রেফারেন্সঃ ইবন মাজাহ্,আবূ দাউদ
اَللّٰهُمَّ عَبْدُكَ وَابْنُ أَمَتِكَ احْتَاجَ إِلَى رَحْمَتِكَ وَأَنْتَ غَنِيٌّ عَنْ عَذَابِهِ إِنْ كَانَ مُحْسِنًا فَزِدْ فِيْ حَسَنَاتِهِ وَإِنْ كَانَ مُسِيْئًا فَتَجَاوَزْ عَنْهُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ‘আবদুকা, ওয়াবনু আমাতিকা, এহতাজা ইলা রাহমাতিকা, ওয়া আনতা গানিয়্যুন ‘আন ‘আযা-বিহি, ইন কা-না মুহসিনান ফাযিদ ফী হাসানা-তিহি, ওয়া ইনকা-না মুসীআন ফা তাজা-ওয়ায ‘আনহু।
অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনার এক দাস, আর এক দাসীর পুত্র, আপনার অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী, আপনি তাকে শাস্তি দেওয়া থেকে অমুখাপেক্ষী। যদি সে নেককার বান্দা হয়, তবে তার সওয়াব আরও বাড়িয়ে দিন, আর যদি বদকার বান্দা হয়, তবে তার অপরাধকর্ম এড়িয়ে যান।
রেফারেন্সঃ মুস্তাদরাকে হাকেম ।
নাবালক শিশুদের জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ فَرَطًا وَّذُخْرًا لِوَالِدَيْهِ وَشَفِيْعاً مُجَاباً- اَللّٰهُمَّ ثَقِّلْ بِهِ مَوَازِيْنَهُمَا- وَأَعْظِمْ بِهِ أُجُوْرَهُمَا- وَأَلْحِقْهُ بِصَالِحِ الْمُؤْمِنِيْنَ- وَاجْعَلْهُ فِيْ كَفَالَةِ إِبْرَاهِيْمَ- وَقِهِ بِرَحْمَتِكَ عَذَابَ الْجَحِيْمِ- وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْرًا مِّنْ دَارِهِ- وَأَهْلاً خَيْرًا مِّنْ أَهْلِهِ- اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِأَسْلَافِنَا- وَأَفْرَاطِنَا- وَمَنْ سَبَقَنَا بِالْإِيْمَانِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাজ‘আলহু ফারাত্বান ওয়া যুখরান লিওয়লিদায়হি, ওয়াশাফী‘আন মুজাবান। আল্লা-হুম্মা সাক্কিল বিহী মাওয়াযীনাহুমা, ওয়াআ‘যিম বিহী উজূরাহুমা, ওয়া আলহিক্বহু বিসা-লিহিল মু’মিনীন, ওয়াজ‘আলহু ফী কাফা-লাতি ইবরাহীমা, ওয়াক্বিহি বিরাহমাতিকা ‘আযা-বাল জাহীম, ওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরান মিন দা-রিহি, ওয়া আহলান খায়রান মিন আহলিহি, আল্লা-হুম্মাগফির লি’আসলাফিনা ওয়া আফরাত্বিনা ওয়া মান সাবাক্বানা বিল ঈমান।
অর্থঃ হে আল্লাহ, তাকে তার পিতা-মাতার জন্য অগ্রগামী প্রতিনিধি বা সওয়াব ও সযত্নে গচ্ছিত সওয়াব হিসেবে কবুল করুন। আর তাকে এমন শাফা‘আতকারী বানান, যার শাফা‘আত কবুল হয়। হে আল্লাহ, এ শিশুর দ্বারা তার পিতা মাতার ওজনসমূহ আরও ভারী করে দিন। আর এর দ্বারা তাদের দু’জনের সওয়াব আরও বাড়িয়ে দিন। আর তাকে নেককারদের সঙ্গী-সাথী বানান এবং তাকে ইবরাহীম আলাইহিসসালামের যিম্মায় রাখুন। আর আপনার রহমতের অসীলায় তাকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। তাকে তার এ বাসস্থানের পরিবর্তে উত্তম বাসস্থান প্রদান করুন, এখানকার পরিবার-পরিজনের পরিবর্তে উত্তম পরিবার-পরিজন প্রদান করুন। হে আল্লাহ, আমাদের পূর্ববর্তী নর-নারী ও নাবালক অগ্রগামী সন্তান-সন্ততিদের মাফ করুন এবং যারা ঈমান সহকারে আমাদের পূর্বে মারা গেছে তাদেরকেও।
রেফারেন্সঃ আল-মুগনী, লি ইবন কুদামা
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًاوَسَلَفًاوَأَجْرًا
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাজ‘আলহু লানা ফারাত্বান ওয়া সালাফান ওয়া আজরান।
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমাদের জন্য তাকে অগ্রগামী প্রতিনিধি, অগ্রিম পূণ্য এবং সওয়াব হিসেবে নির্ধারণ করে দিন।
রেফারেন্সঃ ইমাম বুখারী, কিতাবুল জানায়েয এর, ৬৫, বাবু কিরাআতি ফাতিহাতিল কিতাব আলাল জানাযাত ২/১১৩; ১৩৩৫ নং হাদীসের পূর্বে এটাকে তা‘লীক বা সনদ ব্যতীত বর্ণনা করেছেন।
শোকার্তদের সান্ত্বনা দেওয়ার দো‘আ
إِنَّ لِلّٰهِ مَا أَخَذَ وَلَهُ مَا أَعْطَى وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُّسَمَّى فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ
উচ্চারণঃ ইন্না লিল্লা-হি মা আখাযা, ওয়ালাহু মা আ‘তা, ওয়া কুল্লু শাই’ইন ‘ইনদাহু বিআজালিম মুসাম্মা, ফালতাসবির ওয়াল তাহতাসিব।
অর্থঃ নিশ্চয়ই যা নিয়ে গেছেন আল্লাহ্ তা তাঁরই, আর যা কিছু প্রদান করেছেন তাও তাঁর। তাঁর কাছে সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কাজেই সবর করা এবং সওয়াবের আশা করা উচিত।
রেফারেন্সঃ বুখারী,মুসলিম।
মৃতকে কবরে প্রবেশ করানোর দো‘আ
মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ
কবর যিয়ারতের দো‘আ
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِمِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ- وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللّٰهُ بِكُمْ لَاحِقُوْنَ- (وَيَرْحَمُ اللّٰهُ الْمُسْتَقْدِمِيْنَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِيْنَ) أَسْاَلُ اللّٰهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ
উচ্চারণঃ আস্সালা-মু আলাইকুম আহলাদ্দিয়ারি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা, ওয়াইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হিকুনা, [ওয়া ইয়ারহামুল্লাহুল মুসতাক্বদিমীনা মিন্না ওয়াল মুসতা’খিরীনা], আসআলুল্লাহা লানা ওয়ালাকুমুল ‘আ-ফিয়াহ।
অর্থঃ হে গৃহসমূহের অধিবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আর নিশ্চয়ই আমরা ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথে মিলিত হবো। [আল্লাহ আমাদের পুর্ববর্তীদের এবং পরবর্তীদের প্রতি দয়া করুন।] আমি আল্লাহ্র নিকট আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করি।
রেফারেন্সঃ মুসলিম।